মহিউদ্দিন মৈশাল শুধু একটি নাম নয়, রায়পুর উপজেলা ১০নং ইউনিয়নবাসীর জন্য একটি আস্থার প্রতীক। বিএনপির এই নিবেদিত সংগঠক দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে সততা, ত্যাগ ও জনসেবার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শৈশব থেকেই ধানের শীষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করা মহিউদ্দিন মৈশাল আজ রায়পুরের সাধারণ মানুষের কাছে “মৈশাল ভাই” নামে পরিচিত।
মহিউদ্দিন মৈশালের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ১৯৯০ সালে রায়পুর সরকারি কলেজ থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও নেতৃত্বগুণ তাকে দ্রুতই জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৯৫ সালে রায়পুর উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে তিনি প্রমাণ করেন যে, সততা ও জনসেবাই রাজনীতির মূলমন্ত্র। বর্তমানে তিনি রায়পুর উপজেলার বিএনপি সদস্য।
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ উল্ল্যাহ চৌধুরী বলেন, মৈশাল ভাই শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি আমাদের এলাকার সবার পরিবারের সদস্যের মতো। কোনো সমস্যায় তিনি সব সময় এগিয়ে আসেন।
কৃষক মতি ব্যাপারি বলেন, “তিনি আমাদের ধানের শীষের রাজনীতিকে বুঝেন। কৃষকের দুঃখ-কষ্ট তার নিজের মতো।”
যুবক নাজমুল হোসাইন বলেন, মৈশাল ভাইয়ের মতো নেতা আজ বিরল। তিনি তরুণদের জন্য কাজ করেন, আমাদের স্বপ্নকে গুরুত্ব দেন।”
সাক্ষাৎকারে মহিউদ্দিন মৈশাল বলেন, “আমার রাজনীতি মানুষের সেবার জন্য। আমি সব সময় রায়পুরবাসীর পাশে থাকব। বিএনপির আদর্শ ও ধানের শীষের প্রতি আমার অঙ্গীকার অবিচল। আমরা একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ রায়পুর গড়তে চাই, যেখানে কৃষক, শ্রমিক, যুবক—সবাই তাদের অধিকার পাবে।
তিনি আরও বলেন, “আমার সাফল্যের পেছনে রায়পুরের মানুষের ভালোবাসা ও আস্থাই প্রধান শক্তি। আমি তাদের বিশ্বাস রাখি, তারা আমাকে বিশ্বাস করে।”
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মহিউদ্দিন মৈশালের জনপ্রিয়তার মূল কারণ তার সরলতা ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক। তিনি শুধু নির্বাচনী সময়েই নয়, সারাবছরই মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যান।
রায়পুর উপজেলা ১০নং ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মতে, মহিউদ্দিন মৈশালের মতো নিষ্ঠাবান ও সৎ নেতাই আজকের রাজনীতির প্রয়োজন। তার কাজ ও আদর্শ তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে আস্থা রাখতে উৎসাহিত করে। ১০নং ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা, মহিউদ্দিন মৈশালের নেতৃত্বে তারা একটি উন্নত ও সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে। মহিউদ্দিন মৈশাল কেবল একজন স্থানীয় নেতা নন, বিএনপির আদর্শ ও জনসেবার মূর্তপ্রতীক। তার রাজনৈতিক জীবনের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি গণমান্য নেতা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, এমপি’র রাজনৈতিক দর্শনকে অনুসরণ করেন। এছাড়াও রায়পুর উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পোষণ করেন, যার মাধ্যমে তিনি একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে সচেষ্ট।
মহিউদ্দিন মৈশালের রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা গঠনে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, এমপি’র ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বলেন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া স্যার শুধু একজন নেতা নন, তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তার সততা, সাহস ও জনসেবার মনোভাব আমাকে প্রতিনিয়ত প্রেরণা যোগায়।