নেতৃত্ব মানে শুধু পদ নয়, বরং অন্যদের উদ্দীপনা যোগানো এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এমন ধারণা থেকেই একদল উদ্যমী শিক্ষার্থী গ্রহণ করেছে ‘বিশুদ্ধতার জাগরণ’ নামের একটি সামাজিক উদ্যোগ, যার লক্ষ্য বিশুদ্ধ পানির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে উৎসাহিত করা।
প্রকল্পের সদস্যরা জানান, মহাখালী সাততলা বস্তির বাসিন্দাদের ওপর পরিচালিত একটি প্রাথমিক জরিপে দেখা যায়, বস্তিবাসীদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। তারা যে পানি ব্যবহার করেন, তা অনেক সময় ঘোলাটে, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত, যা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগবালাইয়ের প্রথম কারণ হিসেবে কাজ করছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সমস্যাটির আংশিক সমাধানে এগিয়ে আসে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত ৯ই নভেম্বর থেকে ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকায় একাধিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কার্যক্রমের মধ্যে ছিল স্থানীয় মসজিদে বিনামূল্যে পানি ফিল্টার প্রদান ও স্থাপন, বস্তির শিশুদের জন্য দুটি পৃথক শিক্ষামূলক ও সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন, এবং প্রায় ৪০টি পরিবারকে বিনামূল্যে পানি বিশুদ্ধকরণ সামগ্রী বিতরণ এছাড়াও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক ও নিরাপদ পানি ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা সম্বলিত পিভিসি পোস্টারও স্থাপন করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের আয়োজক শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা শুধু দায়িত্বই নয়, মানবিক কর্তব্য। মহাখালী সাততলা বস্তিতে পরিচালিত এই প্রকল্প তাই শুধু সচেতনতা নয়, বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে দীর্ঘস্থায়ী সামাজিক অঙ্গীকারের প্রতীক হয়ে উঠবে।
